মুকেশ আম্বানির জীবনের এই পাঁচটা স্বপ্ন এখনও সত্যি হয়নি, দেখেনিন কি কি
দুনিয়ার অন্যতম বড় কোম্পানি রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের তিনি সর্বেসর্বা। তিনিই ১৩০ কোটি দেশের সবচেয়ে আর্থিক দিক থেকে বিত্তবান মানুষ, যাকে বলে বড়লোক। মুকেশ আম্বানির রোজগার বিশ্বের গরীব ৭০টা দেশের থেকেও বেশি। যত দিন যাচ্ছে তত বড়লোক হচ্ছেন মুকেশ। যেভাবে চলছে তাতে দুনিয়ার সবচেয়ে বড়লোক মানুষটা যদি মুকেশ আম্বানি হয়ে যান, তা হলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। তাঁর ছেলেও ব্যবসার বেশ কিছু জিনিসে দারুণ কাজ করছেন। রিলায়েন্স ক্রিপ্টোকারেন্সিও আনার পরিকল্পনার মাস্টারমাইন্ড মুকেশের ছেলে অনন্ত আম্বানির। সব মিলিয়ে মুকেশ আম্বানির কথা যত শোনা হয়, মনে হয় মানুষটা সব পেয়ে গিয়েছেন। কিন্তু না, মুকেশ আম্বানিরও বেশ কিছু জিনিস আছে যা অধরা।
জানুন মুকেশের সেই সব অধরা পাঁচ স্বপ্ন-
৫) তাঁর রিলায়েন্স টেলিকম দুনিয়ার এক নম্বর টেলিকম সার্ভিস প্রোভাইডার হওয়া-
২০০২ সালে লঞ্চ করেছিল রিলায়েন্স কমিউনিকেশন। শুরুতেই ঝড় তুলেছিল রিলায়েন্স ফোন। মোবাইল ফোনের বিপ্লবটা প্রথম এনেছিল রিলায়েন্সই। সাধারণ মানুষ, মফস্বল, গ্রামে গঞ্জে মানুষের হাতে ফোন তুলে দিতে পেরেছিল রিলায়েন্স-ই। তবে এয়ারটেল, ভোডাফোনের চাপে শুরুতে জ্বলে উঠেও নিভে যায় রিলায়েন্স। প্রচন্ড প্রতিযোগিতামূলক বাজারে অনেক চেষ্টা করেও কিছুতেই সুবিধা করতে পারছিল না মুকেশ আম্বানির কোম্পানি। তবে ২০১৫ সালে ‘জিও’ কোম্পানিকে রিলঞ্চ করে ফের ধামাকা মাচিয়ে দেন মুকেশ। কল, ডেটা সব ফ্রি করে মুকেশের লক্ষ্য ছিল বাজার ধরা। সেটাই দারুণভাবে সফল হয়েছিলেন। তবে ২০০২ সালে রিলায়েন্স কমিউনিকেশন লঞ্চ করার সময় মুকেশ বলেছিলেন, তিনি ১৫ বছরের মধ্যে তাঁর এই কোম্পানিকে দুনিয়ার এক নম্বর টেলিকম সার্ভিস প্রোভাইডার বানাতে চান। এখনও মুকেশ সেই চেষ্টায় আছেন। তবে জিও-র ব্যাপক বাজার সত্ত্বেও মুকেশ আম্বানির এই কোম্পানি ভারতের সবচেয়ে বড় টেলিকম সার্ভিস প্রোভাইডার হতে পারেনি। দুনিয়ার সেরা ৩০-এর তালিকাতেও তাঁর কোম্পানি নেই।
৪) স্ত্রী নীতা আম্বানিকে নিয়ে মহাকাশ ভ্রমণ করবেন
নীতা আম্বানি একবার তাঁর কাছে মহাকাশ দেখার আবদার করেছিলেন। না, প্লেন থেকে নয় একেবারে মহাকাশযান থেকে মহাকাশভ্রমণ। নীতা আকশ দেখতে বড় ভালবাসেন। তাই মুম্বইয়ে মুকেশ আম্বানির রাজপ্রাসাদের একেবারে ওপরের দিকের সবচেয়ে খোলামেলা ঘরটা নীতাকেই উপহার দিয়েছেন, সেখান থেকে আকাশ বড় কাছে মনে হয়। কিন্তু সেটা তো মুকেশের মত মানুষের কাছে দুধের স্বাদ ঘোলে মেটানোর মত ব্যাপার। ভার্জিন কোম্পানির মালিক ২০২২ সালের মধ্যে মহাকাশভ্রমণের ব্যবস্থা করছেন। যাতে মহাকাশ পর্যটকরা ঠিক নাসার নভোশ্চরদের মত পোশাক পরে গোটা মহাকাশ ঘুরে বেড়াবেন। তবে সেটা এত খরচসাপেক্ষ যে লোক মেলা কঠিন হচ্ছে। শোনা যাচ্ছে মুকেশ নাকি নীতাকে নিয়ে সেই মহাকাশ সফর করবেন।
৩) মুম্বইয়ের তাঁর রাজপ্রাসাদ আন্তালিকাকে আরও বড়, আরও সুন্দর করা
৪৯ হাজার স্কোয়ার ফুট জায়গা জুড়ে ৫৭০ ফুট গগণচুম্বি এই অট্টালিকার ছাদ থেকে গোটা মুম্বই দেখা যায়। গুগল ম্যাপে আম্বানির এই বাড়িটা মুম্বইয়ের যে কোনও জিনিসের থেকে পরিষ্কার দেখা যায়। বাড়িটি তৈরি করতে সময় লেগেছে সাত বছর। ২০১০ সালে বাড়িটি তৈরি সম্পন্ন হয়। ওই বছরের ৫ ফেব্রুয়ারি আনতিল্লার উদ্বোধন করা হয়। কিন্তু মুকেশের নাকি আক্ষেপ রয়েছে এই বাড়িটা তিনি আরও অনেক উঁচু বানাতে চেয়েছিলেন। মুম্বইয়ের প্রশাসন নাকি পারমিশন দেয়নি।
২.বিশ্বের প্রতিটি শহরে কোনও না কোনও ক্ষেত্রে রিলায়েন্সের অস্তিত্ব
বিশ্বের সব দেশেই রিলায়েন্সের ব্যবসা থাকবে। কোনও না কোনওভাবে। এমন লক্ষ্য নিয়েই নাকি কাজ শুরু করেছিলেন মুকেশ। সেটা কিছুটা হলেও মুকেশ বাস্তবের মাটিতে এসে বুঝতে পরেছেন, এটা অনেকাই অবাস্তব পরিকল্পনা ছিল। তবে তিনি ভবিষ্যতের রিলায়েন্সের প্রোজেক্টে এটা রেখেছেন।
১) অন্তত ২৫টি ব্যবসায় দেশের ৭৫ শতাংশ বাজার দখল করা
শুধু তেল, গ্যাস, টেলিকম নয়। পাইকারি, খুচরো ব্যবসা, ইলেকট্রিক, ওষুধ সহ নিত্য প্রয়োজনীয় যাবতীয় জিনিস থেকে শুরু করে দেশের ২৫টি ব্যবসায় মুকেশ ৭৫ শতাংশ বাজার দখল করতে চান।